ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৭/১২/২০২৪ ৯:২৪ এএম

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে কক্সবাজার জেলার সর্ব বৃহৎ ঐতিহাসিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিল। কক্সবাজরের পেকুয়ায় মরহুম মাওলানা শহিদ উল্লাহ স্মৃতি সংসদ ও সমাজ উন্নয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এই মাহফিল অনুষ্টিত হবে। এই মাহফিল ঘিরে পেকুয়ার বৃহত্তর সাবেক গুলদি তাফসীর ময়দানস্থলে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আয়োজক ও প্রশাসন।
তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে প্রধান মোফাসির হিসেবে ড.মিজানুর রহমান আজাহারী ও ইসলামী আলোচক মুফতি আমির হামজাসহ বিভিন্ন খ্যাতিমান আলেম-ওলামাগণ বক্তব্য রাখবেন।
এছাড়া প্রধান অতিথি হিসেবে সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব সালাহউদ্দিন আহমেদেও উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও দলীয় কারণে তিনি বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। এদিকে মাহফিলকে কেন্দ্র করে সাধারণ মুসল্লিদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ, আনন্দ, উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
কারণ জানতে চাইলে পেকুয়া আলীয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা হাসান রব্বানী, মাষ্টার জাহেদ উল্লাহ ও আলী ওয়াছেদ মোহাম্মদ তাহের বলেন, অন্য সব মাহফিল থেকে পেকুয়া সাবেক গুলদি তাফসীর মাহফিল এক ও অভিন্ন। এখানে দেশের প্রায় সব শীর্ষ আলেমগণ উপস্থিত হোন। বিশেষ করে ড.মিজানুর রহমান আজহারির উপস্থিতি বিশেষ গুরুত্ব বহণ করছে। এছাড়াও সকলের প্রিয় বক্তাগণ উপস্থিত থাকেন। যার কারণে সবার মাঝে বিশেষ একটা আগ্রহ কাজ করছে।
বৃহত্তর ওই তাফসির মাহফিলের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও সার্বিক বিষয়ে জানতে পেকুয়া সমাজ উন্নয়ন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা নিয়ামত উল্লাহ নিজামী জানান, মাহফিল ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তার অংশ হিসেবে চতুর্পাশে সিসিটিভি, জেনারেটর লাইট, স্বেচ্ছাসেবকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এই মাহফিলে আনুমানিক ৫ লক্ষাধিক মানুষ একসাথে বসার ব্যবস্থা রয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের গাড়ি পার্কিং, সুলভ মূল্য খাওয়া দাওয়া, অজু ও নামাজের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়া থেকে মাহফিলের প্রধান মোফাসির ড.মিজানুর রহমান আজহারি ঢাকায় এসে পৌছেছেন। তিনি শুক্রবার দুপুর ১২টার মধ্যে পেকুয়ায় এসে পৌছাবেন। জেলার সর্ব বৃহৎ এই তাফসীরুল মাহফিলের সার্বিক ব্যবস্থা নিয়ে বুধবার উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যদের সাথে আলোচনা হয়েছে। মাহফিল সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে যাতে সম্পূর্ণ হয় সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তার আলোকে মাহফিলস্থলতে সাজানো হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পেকুয়া উপজেলার সাবেক গুলদি বৃহত্তর তাফসীর ময়দান ঘিরে শেষ মুহুর্ত্বে ব্যস্ত সময় পার করছেন নানা কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা। রাস্তার মোড়ে মোড়ে দৃষ্টিনন্দন ব্যানার-ফেস্টুন টানানোসহ ব্যাপক পরিসরে মাইকিং করে জানানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, বৃহত্তর ঐতিহাসিক তাফসীর মাহফিল ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মো.রকীব-উর রাজা মাহফিলস্থ পরিদর্শন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা কাজ করছেন। মাহফিলস্থলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কোন রকমের ঘাটতি আছে কিনা শেষ মুহুর্ত্বে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত